আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে – খাদ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - খাদ্যমন্ত্রী

কেরানীগঞ্জ ( ঢাকা ) প্রতিনিধি:
খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে ১/১১’র কুশিলবরা এখনও সক্রিয় আছে । আগামী জাতীয় নির্বাচনকে  তারা বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারবে না। কারণ আগামী নির্বাচন হবে একটি অবাদ,সুষ্ঠু ও গ্রহন যোগ্য নির্বাচন এবং যথাসময়েই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আমরা সবার অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন চাই। তবে সংসদে যাদের অবস্থান নাই তাদের নির্বাচনকালিন সরকারের দায়িত্বে আসারও কোন সুযোগ নেই । দেশের সব মানুষই জানে খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে আছে । তার জামিন হওয়া বা না হওয়া  এটা সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। আদালত ইচ্ছে করলে তাকে জামিন দিতে পারেন আবার নাও পারেন । খালেদা জিয়া জেলহাজতে থাকলে তার জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচন কালিন সরকার প্রধান। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে হলে কোন দল এ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে আর ইচ্ছে না হলে করবেনা । খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবেন কি পারবেনা সেটা আদালতের বিষয়। সেখানে আমাদের কোন হাত নেই। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তই মেনে নেব।

তবে দেশী বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সজাগ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যই আমাদের বিজয়কে তরান্বিত করবে।

অতীতের কোন সরকার এত উন্নয়ণ মূলক কাজ করেনি বলে তিনি আরো বলেন এ সরকারের আমলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভুতপূর্ব উন্নয়নসহ সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ণ কাজ হয়েছে। তিনি বলেন এসরকারের আমলে দেশের উৎপাদন বেড়েছে। মানুষের আয় রোজগার বেড়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকালে কেরাণীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায় ছায়া নীড় কমিউনিটি সেন্টারে
একাদশ সংসদ নির্বাচনী ঢাকা -২ আসনের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের প্রতিক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা রাখাটা ছিলো আমার বিরাট ভুল।

ঢাকা জেলা যুবলীগ সভাপতি শফিউল আযম বারকুর সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী,উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন আপনার যদি নির্বাচন করার ইচ্ছে হয় আপনি প্রার্থী হন আমার কোন সমস্যা নেই , কিন্তু আমার সমর্থক বা লোকজনদের ভয়ভীতি দেখাবেন,হামলা করবেন, পোষ্টার ছিড়বেন তা বরদাস্ত করা হবেনা।

এসময় কামরুল ইসলাম তার নিজ নির্বাচণী এলাকায় পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, আমি এমপি কিংবা মন্ত্রী হিসেবে আমার সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করে দেব।

তিনি আরো বলেন আমার নির্বাচনী এলাকায় অন্য কারো পকেট কমিটি – ওয়ানম্যান কমিটি চলতে পারে না। এটা আমাকে এরিয়ে যাওয়ার একটি অপচেষ্টা। এটা অত্যন্ত দু:খজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির সহ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব,ডা.শাওন, মো.শাজাহান, আইকে শাহীন,
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবু সিদ্দিক, আটি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হাজি জাকির হোসেন, ঢাকা জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক  শেখ শাহাদাৎ হোসেন,ভাকুর্তা ইউপি চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment